নবজাতকের ক্ষতির যত কারণ

সদ্যোজাত শিশু অর্থাৎ নবজাতকের সুস্থতায় আমরা সবসময় চিন্তিত থাকি। বাবা মায়ের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের চিন্তাটা একটু বেশিই হয়ে যায়। বেশি বেশি চিন্তা থেকে বেশি বেশি উপদেশ আর বেশি বেশি বিভ্রান্তি। এই বিভ্রান্তির কারণে মা বাবারা অনেক সময় এমন সব আচরণ বা কাজ করেন যা থেকে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে । আসুন তবে জেনে নিই নবজাতকের জন্য ক্ষতিকর সাত কারণ সম্পর্কে।

১. অনেকেই মনে করেন মধু বা চিনি খাওয়ালে শিশুর কথাও মিষ্টি হবে।এ ধারণা একেবারে ঠিক নয়। শিশুর জন্মের পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শালদুধ। চিনি বা মধু দিলে শিশু তো শাল দুধ থেকে বঞ্চিত হয়ই, তা ছাড়া এসব থেকে জীবাণুর সংক্রমণে শিশু আক্রান্ত হতে পারে।

২. জন্মের পর শ্বাস না নিলে অনেকে পা ওপরে ধরে নবজাতককে ঝুলায়। অনেক সময় বাচ্চাকে থাপ্পড় দেয়, বুকরে খাঁচায় চাপ দেয়, গর্ভফুলকে গরম করে- এগুলো একদম ঠিক নয়।

৩. বাচ্চার ঘাড় শক্ত হতে তিন মাস সময় লাগে।তাই বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার সময় কখনো মাথায় ধরে ঝুলিয়ে যেন তুলে না নেওয়া হয়। ছোট্টশিশুকে নিয়ে খেলার সময় ওকে এমনভাবে দুই হাতে ধরতে হবে, যেন হাত ছিটকে না পড়ে যায়।

৪. শিশুকে হাসানোর জন্য তার মুখের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে দেন পরিবারের কোনো কোনো সদস্য। কেউ কেউ নবজাতকের নাক পরিষ্কার করতে নিজের অপরিচ্ছন্ন আঙুলের ডগা শিশুর নাসারন্ধ্রে ঢুকিয়ে চেষ্টা চালাতে থাকেন।এটাও ঠিক নয়।

৫. অনেকে নবজাতকের ঘরে আগুন ধরান কিংবা ধূপ জ্বালান। কেউ সদ্যজাত শিশুকে দেখতে এলে তাকে ধূপের স্তর পার হয়েই আসতে হয়। এতে শিশু অমঙ্গল থেকে রক্ষা পায় বলে অনেকের ধারণা। এই আগুন কিন্তু শিশুর শ্বাসকষ্ট কিংবা অন্যান্য অসুখের কারণ হাত পারে। তাই এসব বর্জন করাই শ্রেয়।

৬. যততত্র চুমু দিলে শিশুর ইনফেকশন হয়। বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ ইনফেকশন। তাই শিশুকে বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ না ধুয়ে কোলে নেওয়া বা চুমু দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৭. বাচ্চার যেন নজর না লাগে সেজন্য অনেকেই বাচ্চাকে টিপ বা কাজল দেন । এতে বাচ্চার এলার্জি, শ্বাসকষ্ট কিংবা কাশি বেড়ে যেতে পারে । হতে পারে চোখ ও ত্বকের ক্ষতি। তাই এসব পরিহার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *