নতুন রেকর্ড বাবর আজমদের
দলে নেই অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিক। তবুও বাবর আজমের দলকে কোনো অংশে অসম্পূর্ণ মনে হলো না। বরং, করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ তারা রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করলো পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট করে দিয়ে ৬৩ রানে ম্যাচ জিতে নিলো পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হওয়ায় ছিলেন দলের বাইরে। শঙ্কা ছিল করোনার কারণে সিরিজটাই না বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে শুরু হলো পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সিরিজের শুরুতেই দুর্দান্ত রেকর্ড গড়লেন বাবর আজমরা। ক্যারিবীয়দের কার্যত উড়িয়ে দিয়ে নিজেদেরই পুরনো এক রেকর্ড টপকে গেল পাকিস্তান। বরং বলা ভালো যে, নিজেদের পুরনো রেকর্ডকে আরও একটু দীর্ঘায়িত করলো বাবর আজমরা।
এই ম্যাচ দিয়ে চলতি বছরে এই নিয়ে মোট ১৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে নেন বাবর আজমরা। একটি ক্যালেন্ডার বর্ষে কোনও দলের সবথেকে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ডও ছিল পাকিস্তানের নামে। তারা ২০১৮ সালে মোট ১৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান তোলে। বাবর আজম শূন্য রানে আউট হন।
মোহাম্মদ রিজওয়ান দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৮ রান করেন। ৫২ বলের ইনিংসে তিনি ১০টি চার মারেন। হায়দার আলি করেন ৩৯ বলে ৬৮ রান। তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
৪৩ রানে ২টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন, ওশানে থমাস, ডমিনিক ড্রেকস ও ওডিন স্মিথ। ওডিন ৪ ওভারে ৫৬ রান খরচ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯ ওভারে ১৩৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। শাই হোপ ৩১, নিকোলাস পুরান ১৮, রোভম্যান পাওয়েল ২৩ ও শেফার্ড ২৪ রান করেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪০ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন।
শাদাব খান ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ নওয়াজ ও হ্যারিস রউফ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হায়দার আলি। পুরো ম্যাচে ১০জন বোলার (উভয় দলের) অন্তত একটি করে হলেও উইকেট পেয়েছেন। এ নিয়ে ৩৫তম বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দিয়েছে পাকিস্তান। যে কোনো দলের চেয়ে বেশি।