নতুন উচ্চতায় ভারতের কফি রফতানি
২০২১-২২ মৌসুমে ভারতের কফি রফতানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রথমবারের মতো রফতানি আয় বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মতো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রফতানিতে মাইলফলক স্পর্শ করেছে দেশটি।
তথ্য বলছে, ২০২১-২২ মৌসুমে মূল্যমানের দিক থেকে ভারতের কফি রফতানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। দেশটি এ সময় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কফি রফতানি করে। অথচ আগের বছর পানীয় পণ্যটি রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৩ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
পরিমাণের দিক থেকেও পণ্যটির রফতানি ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে দেশটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার টন কফি রফতানি করে। অথচ এর আগের বছর দেশটি সব মিলিয়ে ৩১ লাখ টন কফি রফতানি করেছিল।
কফি বোর্ডের সিইও এবং সেক্রেটারি কেজি জগদীশ বলেন, কফি রফতানিতে সরকার নির্ধারিত একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল পিছিয়ে পড়েছে। দেশটিতে উৎপাদন কমায় বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম লাফিয়ে বেড়েছে। এদিকে দাম বাড়ার সুবিধা নিতে উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ভারত। ফলে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দেশটি রফতানি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। টানা দুই বছর ভারতে কফি উৎপাদন ভালো হচ্ছে।
কফি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রমেশ রাজা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কফির মূল্যবৃদ্ধি রফতানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কফির চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়া, কনটেইনার সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আমাদের রফতানি আরো ভালো হতে পারত।