দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিক্রি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ
গত বছরের শেষার্ধে দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিক্রি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। যার আর্থিক পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সম্প্রতি ইস্পেস রিয়েল এস্টেট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
দুবাইয়ের ৩০টি আবাসিক এলাকার গত ছয় মাসের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিশেষ করে আবাসিক খাত ও বাজার পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে দুবাইয়ের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এলাকাগুলোয় বিক্রি কমার কারণ আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুনঃবিক্রয় বা সেকেন্ডারি মার্কেটে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা কীভাবে আবাসন খাতে ভাড়া বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, দুবাইয়ের সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসিক এলাকাগুলো প্রতিষ্ঠিত আবাসিক এলাকায় আবাসনে উচ্চমূল্য থাকার কারণে উপকৃত হচ্ছে। ভিলা ও টাউন হাউজ মার্কেটে, পাম জুমেইরাহ ও দুবাই হিলসের মতো প্রতিষ্ঠিত আবাসিক এলাকাগুলোয় বিক্রির পরিমাণ আংশিক কমেছে। যখন মিরা ও মুডনের মতো শহরের বাইরের এলাকাগুলোয় বিক্রি বেড়েছে।
ইস্পেস রিয়েল এস্টেটের প্রতিবেদন অনুসারে, সামগ্রিকভাবে আবাসন বিক্রয় ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। যার পরিমাণ মোট ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় অফ-প্ল্যান আবাসনের বাজারে বিক্রি ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি পুনঃবিক্রয় বা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি ২১ শতাংশ বেড়েছে।
২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ লাখ ডলারের দামের বেশি বিলাসবহুল আবাসন বাজারও ৪০ বিক্রি শতাংশ বেড়েছে, যা বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গড় বিক্রয়মূল্য ২৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ লাখ ডলার হয়েছে। এদিকে দুবাই রিয়েল এস্টেটের ক্রেতা তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, রাশিয়া ও মিসর।
ইস্পেস রিয়েল এস্টেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জন লিয়নস জানান, দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠিত আবাসিক এলাকাগুলোয় উচ্চ বিক্রয়মূল্যের জন্য ক্রেতারা আরো বাজেটবান্ধব বিকল্প খুঁজতে উৎসাহিত হয়েছে। ফলে মিরার মতো আবাসিক এলাকায় বিক্রি বেড়েছে।
এছাড়া দেশটির সামগ্রিক গড় আবাসন ভাড়াও বেড়েছে। যেমন জুমেইরাহ গালফ এস্টেটে ৯০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। একইভাবে জুমেইরাহ দ্বীপপুঞ্জে ও এমিরেটস হিলসও গড় ভাড়া যথাক্রমে ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে জরিপ করা ৩০টি আবাসিক এলাকার মধ্যে ২৫টিতে ভাড়ার পরিমাণ কমেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে আবাসনের উচ্চমূল্য বাজারের কার্যক্রমকে শিথিল করছে। এছাড়া এ সময়ে কম পরিমাণে ভাড়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।