দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে
গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) টানা পাঁচ নিলামে নিম্নমুখী থাকার পর চলতি মাসের প্রথম নিলামে দুগ্ধপণ্যের দাম বেড়েছিল। তবে মাসের শেষ নিলামে দাম আবারো কমেছে। চীনে লকডাউনের প্রভাবে নিম্নমুখী চাহিদা ও ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদনের প্রভাবে দাম কমছে।
জিডিটির মূল্যসূচক অনুযায়ী, সর্বশেষ নিলামে দুগ্ধপণ্যের গড় দাম আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ ডলারে।
এ নিলামে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৬৬৫ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৭৬০ টন। নিলামে অংশ নেয় ১৪৯ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জয়ী হয়েছে ১০৩ জন।
মূল্যসূচক কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে চেডার পনির। দুগ্ধপণ্যটির দাম আগের নিলামের তুলনায় ৯ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে গড়ে ৪ হাজার ৮৭৫ ডলারে।
দাম কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাট। প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৯১৩ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
জিডিটি নিলামে সবচেয়ে প্রভাবশালী পণ্য ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি)। পণ্যটি বিক্রির মাধ্যমে সরাসরি লাভবান হন খামারিরা। সর্বশেষ নিলামে দুগ্ধপণ্যটির দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ১২৫ ডলারে।
সর্বশেষ নিলামে দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে একটি ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ (এসএমপি)। জিডিটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবশালী পণ্যটির দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২৭৬ ডলারে। অন্যদিকে মাখনের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২১৩ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এবারের নিলামে মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধ, ল্যাকটোজ ও সুইট হুই পাউডার উত্তোলন করা হয়নি।
চীনে লকডাউনের প্রভাবে সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক নিলামগুলোয় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্বশেষ নিলামের ফল রেকর্ড দামের কারণে ক্রেতাদের অনীহার প্রতিই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এনজেডএক্সের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক অ্যামি ক্যাসেলটন বলেন, দাম কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর এশিয়ার বাইরের শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো।