দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক আবারো নিম্নমুখী

স্টাফ রিপোর্টার

গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) সর্বশেষ নিলামে আবারো কমেছে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক দাম। পাশাপাশি নিলামে বিক্রির পরিমাণও ছিল নিম্নমুখী। মৌসুমের শেষ দিকে দুধ উৎপাদন বাড়ার প্রত্যাশায় ব্যবসায়ীরা ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছেন। এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তারা। মূলত এ কারণেই দুগ্ধপণ্যের দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ নিলামে জিডিটি মূল্যসূচক ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় দাম উঠেছে ৩ হাজার ৪১৪ ডলার। এর আগে টানা তিন নিলামে মূল্যসূচক নিম্নমুখী থাকার পর চলতি মাসের শুরুতে দুগ্ধপণ্যের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছিল। তখন প্রতি টনে গড় মূল্য দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৪৫৬ ডলার।

এবারের নিলামে সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৩৯০ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার ৬৯৩ টন। মাসের প্রথম নিলামের তুলনায় বিক্রি কমেছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। নিলামে ১৫৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছে ১১৭ জন।

নিলামে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয় ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি)। খামারিরা এটি থেকে সরাসরি লাভ করেন। পণ্যটির দাম আগের নিলামের তুলনায় ২ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ২৬৪ ডলার।

অন্যদিকে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের (এসএমপি) দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৭৬৯ ডলারে। ল্যাকটোজের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ১ হাজার ১০৭ ডলার। অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪৪৭ ডলারে নেমেছে। তবে মাখনযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৯২২ ডলারে। এছাড়া চেডার পনিরের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৮৬ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *