দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে ধোনির চেন্নাই

বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার আইপিএলে দেখা গেছে পাঁচ ওভারের ম্যাচ। তবে বুধবার রাতে দুই দলই পেয়েছে সমান ২০ ওভার করে। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে শেষ পাঁচ ওভারই।

ওই পাঁচ ওভারেই দিল্লি ক্যাপিটালসের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। ঘরের মাঠে ধোনির দল জিতেছে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে।

অথচ শুরুটা ভুলে যাওয়ার মতোই হয়েছিল চেন্নাইয়েরর। ডেথ ওভারে এসে প্রাণ ফিরে পায় দলটি। ৪ উইকেটে তারা গড়ে ১৭৯ রানের বড় পুঁজি, যার অর্ধেক রানই এসেছে শেষ ৬ ওভারে।

দেখে মনে হচ্ছিল, পিচটা বুঝি আস্তে আস্তে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটিংয়ে নামার পর দেখা গেল উল্টো চিত্র। ইমরান তাহির আর রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ২২ বল বাকি থাকতেই দিল্লির ইনিংস গুটিয়ে গেছে ৯৯ রানে। মাত্র ২১ রান খরচায় তারা দুজন তুলে নেন ৭ উইকেট।

১৮০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। একটা প্রান্ত ধরে যা একটু লড়াই করেছে অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। কিন্তু সাথে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় আয়ার যখন সাজঘরে ফিরেছেন, ৮৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে দলের। দিল্লির ৯ ব্যাটসম্যানই দশের কোটা ছুঁতে পারেননি।

এর আগে সুরেশ রায়নার হাফ সেঞ্চুরি, এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে ফেরা মহেন্দ্র সিং ধোনির ২২ বলে ৪৪ রানের ঝড়ে দিল্লির সামনে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলে চেন্নাই সুপার কিংস।

টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি ক্যাপিটালস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শেন ওয়াটসনের উইকেট হারায় চেন্নাই। এরপর ফ্যাফ ডু প্লেসিকে নিয়ে জুটি গড়ে সুরেশ রায়না। ৮৩ রানের জুটি গড়ার পর থেমে যান তারা। ৪১ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ডু প্লেসিস।

সুরেশ রায়না ৩৭ বলে ৮ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। রবীন্দ্র জাদেজা ১০ বলে ২৫ রান করে আউট হন। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *