দাম বাড়ছে না মালয়েশীয় পাম অয়েলের

চলতি বছরের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ কমে এসেছে। ফলে পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে বাস্তবে পাম অয়েলের বাজারে উল্টো চিত্র দেখা গেছে।

মালয়েশিয়ার বাজারে বরং পাম অয়েলের দাম কমতির দিকে। ব্যবসায়ীদের মতে, মজুদ কমতির দিকে থাকলেও এখনো তা দুই দশকের সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এ কারণে পাম অয়েলের মজুদ কমার প্রভাব পণ্যটির দামে পড়েনি। খবর স্টার অনলাইন ও বিজনেস রেকর্ডার।

মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ আগের তুলনায় কমে ৩০ লাখ টনে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কম। তবে আগের মাসের তুলনায় কমলেও এখনো দেশটিতে পণ্যটির মজুদ দুই দশকের সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতি মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের দরপতনের লাগাম টানতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে পাম অয়েলের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে চলতি বছরের মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েল বেচাকেনা হয়েছে ২ হাজার ১২১ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) বা ৫২২ ডলার ২ সেন্টে, যা আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ কম। দিনের শুরুতে মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ২ হাজার ১১৫ রিঙ্গিতে নেমে এসেছিল। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বরের পর এটাই মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের সর্বনিম্ন দাম।

কুয়ালালামপুরভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, পাম অয়েলের রফতানি বেড়ে মজুদ কমতে শুরু করেছে। মজুদ কমার খবরে পাম অয়েলের দাম কমে আসার কথা। তবে বাস্তবে তা হয়নি। ১১ মার্চ মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড ফেব্রুয়ারি মাসের মজুদের তথ্য প্রকাশ করবে। তখন মজুদ আরো কমে আসার তথ্য সামনে এলে পণ্যটির দাম বর্তমানের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *