দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস আফগানিস্তানের

স্টাফ রিপোর্টার

ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানের ক্রিকেটে রূপকথা চলছেই। গত ১১ মাসে বড় বড় এই দলগুলোকে হারিয়েছে আফগানরা।

সর্বশেষ তাদের শিকারের খাঁচায় ধরা দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের বাইরে প্রথম দেখাতেই প্রোটিয়াদের নাকানি চুবানি খাওয়ালো আফগানরা। যে কোনো ফরম্যাটে তারা প্রথমবারের মতো হারালো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

বুধবার রাতে শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬ উইকেট আর ১৪৪ বল হাতে রেখে জিতেছে আফগানিস্তান। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে বলের হিসেবে এটা তাদের তৃতীয় বড় জয়।

বোলাররাই আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন। তবে ১০৭ রানের লক্ষ্যে নেমেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আফগানরা। প্রোটিয়া বোলাররা ৩৮ রানে তুলে নিয়েছিলেন আফগানিস্তানের ৩ উইকেট।

তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর গুলবাদিন নাইব দেখেশুনে খেলে জয় নিশ্চিত করেন। ওমরজাই ৩৬ বলে ২৫ আর নাইব ২৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের বোলিং তোপে ৩৬ রান তুলতেই প্রোটিয়ারা হারায় ৭ উইকেট। তখন মনে হচ্ছিল, পঞ্চাশের ঘর পেরোনোই কঠিন হবে। যদিও সেখান থেকে উইয়ান মুল্ডারের হাফসেঞ্চুরিতে কিছুটা মান বেঁচেছে।

শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভার খেলে টেনেটুনে ১০৬ রান তুলে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

৩৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর মুল্ডার একটা প্রান্ত ধরে দলকে একশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। সাত নম্বরে নামা এই ব্যাটার ৮৪ বল খেলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৫২ রান। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।

আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি ৩৫ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। আল্লাহ গজনফর ২০ রানে ৩টি আর রশিদ খান ৩০ রানে শিকার করেন ২টি উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *