তেলের নমুনা এলো রাশিয়া থেকে, চট্টগ্রামে পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত
এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি। তবে, তেল আমদানির ব্যাপারে আরেক ধাপ এগোলো সরকার। রাশিয়া থেকে প্রায় ৫০ লিটার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের নমুনা বুধবার (২৪ আগস্ট, ২০২২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট, ২০২২) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা কাস্টমস থেকে এখনো তেলের নমুনা ছাড় পায়নি। ঢাকা থেকে ওই নমুনা পাঠানো হবে চট্টগ্রামে। সেখান থেকে নমুনা নিয়ে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।
বিপিসির সূত্র জানায়, রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানি রোজনেট পরিশোধিত তেল আনার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আসলে পুরোপুরি পরিশোধিত নয়। ব্যবহারের জন্য এটি আবার পরিশোধন করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর দাম ও অন্যান্য খরচ নিয়ে আলোচনা হবে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তেলের মান, ব্যবহারের উপযোগিতা, দাম, আনার খরচসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে দেখছে বিপিসি। দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এক দফা বৈঠকে প্রাথমিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে তেলের নমুনা এখন পর্যন্ত পরীক্ষাগারে পৌঁছায়নি।
এর আগে ১৬ আগস্ট, ২০২২ একনেক সভায় রাশিয়া থেকে কীভাবে তেল আমদানি করা যায়, সেদিকটা পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যদি পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না প্রধানমন্ত্রী এমনটিও বলেছেন বলে সভা পরবর্তী গণমাধ্যমকে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
জানা গেছে, রাশিয়ার ওপর আমেরিকাসহ ইউরোপের নানা রকম নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় যেকোনোভাবেই তেল কেনার গ্রাহক খুঁজছে দেশটি। এ মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের কাছে আবারও পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রোজনেট। আগে তেল কেনায় আগ্রহী না হলেও এখন বাংলাদেশ ভেবে দেখছে বিষয়টি। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে বিপিসি। যে স্যাম্পলটি রাশিয়া পাঠিয়েছে, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর কমিটি আলোচনা করে দেখবে যে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ তেল কিনে পুষিয়ে উঠতে পারবে কিনা। তার পরেই সিদ্ধান্ত।