তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ককে হত্যা

পশ্চিমবঙ্গে মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবারের এ ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক চ্যাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজারের খবরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, শনিবার বাড়ির পাশের একটি মন্দিরে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে যান নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল দলীয় বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শক সারিতে বসা বিধায়কের কপালে গুলি চালান একদল দুর্বৃত্ত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি করার পরপরই খুনিরা পালিয়ে যান। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন সত্যজিৎ বিশ্বাসকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুপার রূপেশ কুমারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শনিবার রাতে হাসপাতালের একটি ঘরে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘অপরাধীকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।’

নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অভিযোগ করেছেন এ খুনের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হাত রয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের শাসক দলের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘সংগঠনের জোর না থাকায় খুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাদের পায়ের তলায় এখন মাটি নেই। কেননা পশ্চিমবঙ্গে তারা একটি আসনও পাবে না।’

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম থেকে নদীয়ায় আমদানি করা রাজনীতির জেরে এই ঘটনা। তবে রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে এ ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *