তুরস্কের ইস্পাত শিল্পে চাঙ্গা ভাব

সর্বশেষ ২০১৯ সালের এপ্রিলে তুরস্কের ইস্পাত উৎপাদনে চাঙ্গা ভাবের দেখা মিলেছিল। এর পর থেকে খাতটিতে টানা নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ধাতবপণ্যটির উৎপাদন। দীর্ঘ নয় মাসের মন্দা ভাব কাটিয়ে গত মাসে তুরস্কের ইস্পাত উৎপাদন ১৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ সময় দেশটি থেকে ধাতুটির রফতানিও বেড়েছে। তুরস্কের বাণিজ্য সংস্থা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু নিউজ এজেন্সি ও কালানিশ কমোডিটিস।

টার্কিস স্টিল প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টিসিইউডি) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তুরস্কে সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

এদিকে জানুয়ারিতে তুরস্ক থেকে ধাতবপণ্যটির রফতানি বেড়ে ১৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারির তুলনায় যা দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তবে রফতানি বাড়লেও এ খাতে দেশটির আয় বাড়েনি। টিসিইউডির তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ইস্পাত রফতানি থেকে তুরস্ক মোট ১৩০ কোটি ডলার আয় করেছে, আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কম। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে ইস্পাতের দামে নিম্নমুখী প্রবণতা এক্ষেত্রে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদনের শীর্ষ দেশের তালিকায় তুরস্কের অবস্থান সপ্তম। তবে জানুয়ারিতে ধাতবপণ্যটির উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে দেশটি দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইরান।

এদিকে জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ডব্লিউএসএভুক্ত ৬৪ দেশ সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে। পণ্যটির শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান যথারীতি ধরে রেখেছে চীন। তবে অন্যান্য শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ধাতুটির উৎপাদন কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *