তিন কার্যদিবস পর কোনো রকমে বাড়লো সূচক

স্টাফ রিপোর্টার

টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট স্থান করে নিয়েছে, তার চেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতে মূল্য সূচকও কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে এই বাজারটি টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের প্রথম দেড়ঘণ্টা। ফলে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু দপুর ১২টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে আবারও পতনের শঙ্কায় পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

এতে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে বাড়তে থাকে দাম কমার তালিকা। অবশ্য দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পরও মূল্য সূচক কোনো রকমে বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬২২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং, স্যালভো কেমিক্যাল, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, বিচ হ্যাচারি, সোনালী পেপার এবং জেমিনি সি ফুড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৩টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *