তথ্য গোপন রেখে ইমেইল পাঠাবেন যেভাবে

আপনি যদি একজন জিমেইল ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে আপনি এই ই-মেইল পরিষেবাটির ‘কনফিডেন্সিয়াল মোড’ ফিচারটি ব্যবহার করে যেকোনো ব্যক্তিকে গোপনীয় ই-মেইল পাঠাতে পারেন। এ সমস্ত ই-মেইল বার্তায় আপনি ফাইলও অ্যাটাচ করতে পারবেন। মূলত সংবেদনশীল তথ্যসমূহকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বেহাত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করাই এই ফিচারটির মূল উদ্দেশ্য।

গোপনীয় ই-মেইল পাঠানোর সময় আপনি চাইলে এর মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখও সেট করে দিতে পারবেন বা যেকোনো সময় এতে প্রাপকের প্রবেশাধিকার প্রত্যাহার করতে পারবেন যেন প্রাপক এই ই-মেইল কাউকে ফরওয়ার্ড করতে না পারে এবং কপি, প্রিন্ট কিংবা ডাউনলোড করতে না পারে।

তবে ‘কনফিডেন্সিয়াল মোড’ এ পাঠানো ই-মেইল প্রাপক শেয়ার করতে না পারলেও স্ক্রিনশট বা ফটো তুলে রাখতে পারবেন। এ থেকে প্রাপককে বিরত রাখার কোনো অপশন এই ফিচারে নেই।জিমেইলের ‘কনফিডেন্সিয়াল মোডে’ গোপনীয় ই-মেইল পাঠাবেন যেভাবে

* আপনার কম্পিউটার থেকে জিমেইলে লগইন করুন।

* ‘কম্পোজ’ এ ক্লিক করুন।

* উইন্ডোটির নিচের অংশে থাকা ‘টার্ন অন কনফিডেন্সিয়াল মোড’ অপশনে ক্লিক করুন। তবে আপনি যদি ইতিমধ্যেই একটি ই-মেইলের জন্য কনফিডেন্সিয়াল মোড চালু করে থাকেন তাহলে ই-মেইলের নিচের দিকে যান এবং তারপর ‘এডিট’ অপশনটিতে ক্লিক করুন।

* মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার একটি তারিখ এবং পাসকোড সেট করুন। এই সেটিংসটি টেক্সট এবং অ্যাটাচ-উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

– আপনি যদি ‘নো এসএমএস পাসকোড’ নির্ধারণ করেন, তাহলে প্রাপক সরাসরি ই-মেইলটি খুলতে সক্ষম হবে।

– ‘এসএমএস পাসকোড’ নির্ধারণ করলে, প্রাপকের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে একটি পাসকোড যাবে, ওই পাসকোড ব্যবহার করে প্রাপক ই-মেইলটি খুলতে পারবে, যা অধিক সুরক্ষিত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর দেয়ার ঘরে আপনি প্রাপকের ফোন নম্বর লিখবেন, আপনার নিজেরটি নয়।

* এবার ‘সেইভ’ এ ক্লিক করুন।

আপনি যদি নির্দিষ্ট তারিখের আগে আপনার প্রাপককে গোপনীয় ই-মেইলটি দেখা থেকে বিরত রাখতে চান, তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

* আপনার কম্পিউটারে জিমেইলে লগইন করুন।

* বাম দিকে থাকা ‘সেন্ট’ এ ক্লিক করুন।

* কনফিডেন্সিয়াল ই-মেইল খুলুন।

* ‘রিমুভ অ্যাকসেস’ অপশনে ক্লিক করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *