ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি

স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকার আকাশে বুধবার সকাল থেকেই ছিলো রোদের হাসি। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের আড়ালে শুরু হয় মেঘের আনাগোনা। দুপুর ১২টা দিকে নিমেষে রোদমাখা আকাশ ঢেকে যায় মেঘ কালো অন্ধকারে। এর মিনিট পনেরো পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি।

মুষলধারে এ বৃষ্টি চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। মাঝে কিছুটা সময় থেমে আবার বৃষ্টি বাড়তে থাকে। যা চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। রাজধানীতে এসময়ে ঠিক কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর সে তথ্য জানাতে পারেনি।

তবে ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে নগরবাসীর। যদিও ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে দেখা গেছে ।

বুধবার (২৫ মে) সকালেই আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগে ঝড়-বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল।

দিনের শুরুতে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছিলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, পাবনা, রাজশাহী, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল যশোরে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *