ডিএসই পরিচালকের শেয়ার কারসাজি তদন্তে বিএসইসি

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের শেয়ার কারসাজি অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ রাকিবুর রহমান এবং উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ আসিফ ইকবাল।

একটি জাতীয় দৈনিকে ডিএসইর এই পরিচালকের শেয়ার কারসাজি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

তদন্ত কমিটি গঠন করা সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেদনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিধি লঙ্ঘন করে কারসাজির মাধ্যমে ৩ টি বিও অ্যাকাউন্ট-এ ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন এবং ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিএসই’র পরিচালক পদে থাকার কারণে কোম্পানির গোপন সংবাদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট তৈরি করেছে ।যার ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এর বিষয়ে বিশদ অনুসন্ধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

কমিটির কাজ কি হবে তাও নির্ধারণ করে দেয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে –

>> তিনি স্টক এক্সচেঞ্জ এর পর্ষদে থেকে বেআইনি ও অনৈতিকভাবে শেয়ার লেনদেন করে সুবিধা নিয়েছেন কি না।

>> কারসাজির কারণে যেসব কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এর অধিকাংশের শেয়ার লেনদেন করে সুবিধা নিয়েছেন কি না।

>> নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহায়তার পর্ষদ ভেঙে যেসব কোম্পানি দখল করা হয়েছে এর সবকটি থেকেই তিনি আগাম তথ্য জেনে শেয়ার লেনদেন করে লাভবান হয়েছেন কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *