ডালের বাজার চড়া
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে আরেক দফা বেড়েছে ডালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩-৬ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন হয় তা দিয়ে দু-এক মাস চলে। বাকি ডাল আমদানি করতে হয়। দেশে চলমান মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, এলসি খোলার জটিলতাসহ নানা কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। মূলত এ কারণে দেশের বাজারে বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম।
নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, বাজারে দেশী মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, যা ১০-১২ দিন আগে ছিল ১১৬ টাকা। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা করে বেড়েছে। এদিকে বাজারে ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৩১ টাকা কেজি দরে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ১২৯ টাকা। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২ টাকা।
মোটা মসুর ডাল এক সপ্তাহ আগের ৯৪ টাকা থেকে কেজিতে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ফাটি বা ভাঙা মুসর ডাল ৭২ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫৩ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, বুটের ডাল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা, ভাঙা বুটের ডাল ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা, মুগডাল ১০২ থেকে ১০৮ টাকা, খেসারি ৭৬ থেকে ৭৯ টাকা এবং ডাব্লি কেজিতে ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খেসারি ডালের দাম এক সপ্তাহ ধরে ৭৯ টাকায় অপরিবর্তিত।
নিতাইগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, এক সপ্তাহ ধরে ডালের বাজার কিছুটা চড়া। মোটা মসুরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি থাকায় ডালের চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে ডালের দামও কিছুটা বেড়েছে।