ডাবল ট্যাক্সেশন ও ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগি। রাশিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে, উভয় দেশ উদ্যোগেী হলে ব্যবসা বৃদ্ধি করা সম্ভব। ডাবল ট্যাক্সেশন ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেন-দেন জটিলতা দূর হলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এগুলোতে বিনিয়োগ করেছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ও আকর্ষনীয় স্থান। রাশিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী (০৬ ডিসেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার ভিকেনটিভিচ মানটিটস্কাই-এর সাথে মত বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ রাশিয়ার বাজারে রপ্তানি করেছে ৬৬৫.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পন্য একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশের তৈরী পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।