ডলার সমস্যার সমাধান শিগগির
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, শিগগিরই ডলার সমস্যার সমাধান হবে। এই মুহূর্তে দুটো জিনিস চাপ কমাতে সহযোগিতা করতে পারে। একটি হলো রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে, আরেকটি হলো রপ্তানি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও ডলারের ওপর চাপ থাকছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডলারের চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বাড়াতে বলেছেন। অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, রপ্তানিকে বহুমুখী করতে কাজ করা হচ্ছে। আর আমদানি অনেক কমে গেছে। তারপরও ডলারের ওপর চাপ থাকছে। নতুন যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আইন করা হবে যে, বিদেশি অ্যাকাউন্টে প্রবাসীরা ডলার যেটা রাখতে পারবে। এসব পদক্ষেপে আশা করি শিগগিরই ডলার সমস্যার সমাধান হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে কোনো কষ্ট পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কষ্ট হচ্ছে। এজন্য ইনটারেস্ট রেট বাড়ানো হয়েছে। আবার ফিসক্যাল পলিসি, রেট অনেকগুলো বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে কিছুটা মূল্যস্ফীতি কমেছে। যে লেভেলে আসা উচিত, সেটি এখনো হয়নি। ডিমান্ড অনুযায়ী সাপ্লাই করা হচ্ছে। আমাদের কৃষি খাত ভালো করছে। অনেক জায়গায় দাম বাড়ছে, বাড়া উচিত নয়। আমরা এটা দেখছি।
অর্থ, বাণিজ্য ও খাদ্যমন্ত্রী বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, বিষয়টি জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আামি আশাবাদী বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। যেটা ডিমান্ড সাপ্লাইয়ের সঙ্গে বাড়ে সেটাতে কিছু করার নাই। অনেক সময় অস্বাভাবিক ভাবেও দাম বেড়ে যায়। সেখানে সরকার নজরদারী করছে।
শিল্পক্ষেত্রে গ্যাসের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, এখন যা হচ্ছে এটা সাময়িক। আমাদের ২টা এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসফিকশন ইউনিট) আছে। যেগুলোকে বছরে একবার সংস্কার করতে হয়। সংকট কেটে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য ভালো খবর আছে। অনেক নতুন গ্যাস আমরা পেয়েছি। ভোলাতে গ্যাস পেয়েছি। ওভার অল গ্যাসের একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব কাজ ঠিক মতো হলে গ্যাসের সংকট কেটে যাবে।
তিনি বলেন, রপ্তাানিতে নতুন পণ্য চিহ্নিত হয়েছে। এটায় আমি আশাবাদী। আমরা ফুল-ফল রপ্তানি করছি। ছোট আকারে হলেও শুরু হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখী হয়েছে কিন্তু ভলিউম বাড়ছে না। সেখানে অসন্তুষ্টি আছে। পোশাক খাতকে যা যা সুবিধা দেওয়া হয়েছে, চামড়া আর পাটকে সেসব সুবিধা দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।