ট্রাম্পের প্রচারণায় প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা মাস্কের

স্টাফ রিপোর্টার

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার করে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন এ ধনকুবের। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ইলোন মাস্ক জানান, তার ট্রাম্প সমর্থক রাজনৈতিক কমিটি ‘আমেরিকা পিএসি’ এ পুরস্কার দেবে। এ কমিটির পিটিশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে যেসব ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় রিপাবলিকানদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে উৎসাহিত করবে, তাদের এ পুরস্কার দেয়া হবে।

গত শনিবার পেনসিলভানিয়ার টাউন হলে এক আয়োজনে প্রথম বিজয়ীর হাতে চেক তুলে দিয়ে মাস্ক এ কার্যক্রমের সূচনা করেন। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুরস্কার দিয়ে গেলে এবং মাস্কই একমাত্র দাতা হলে ব্যয় হতে পারে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

মূলত পেনসিলভানিয়ার নিবন্ধিত ভোটারদের মাঝে প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে তাদের সমর্থন বাড়াতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ পিটিশনে স্বাক্ষর করলে ভোটাররা ১০ লাখ ডলারের ড্রতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। গত শনিবারের টাউন হলের আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের পিটিশনে স্বাক্ষর করতে হয়েছে। এর মাধ্যমে আমেরিকা পিএসি আরো সম্ভাব্য ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এসব তথ্য ট্রাম্পের পক্ষে ভোটারদের উৎসাহিত করতে ব্যবহার করতে পারে কমিটিটি।

পিটিশনে স্বাক্ষর করতে রিপাবলিকান হওয়ার প্রয়োজন নেই। পেনসিলভানিয়ায় ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধিত যে কেউ এতে স্বাক্ষর করতে পারবেন, এমনকি ডেমোক্র্যাট সমর্থকও।

শনিবার হ্যারিসবার্গে মাস্কের আয়োজনটি ছিল পেনসিলভেনিয়ায় তৃতীয় ইভেন্ট। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে ও অন্যদেরও উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের (এফইসি) তথ্যানুযায়ী, মাস্ক এখন পর্যন্ত আমেরিকা পিএসিতে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃণমূলের প্রচারণার মূল দায়িত্বই অনেকাংশে পালন করছেন মাস্ক। তবে মাঠের হিসাব ভিন্ন কথা বলছে। শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যারিজোনা ও নেভাডায় আমেরিকা পিএসি যে ‘ডোর-টু-ডোর’ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে, তার প্রায় ২৫ শতাংশই সম্ভাব্য প্রতারণামূলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায় প্রচারণায় যারা অংশ নিয়েছিল, তারা বাড়ি বাড়ি যাওয়ার মিথ্যা দাবি করেছে। আমেরিকা পিএসি এ বিষয়ে মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *