টেলর, নিকলসের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ঘোষণা
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলটা ছিলো আশা জাগানিয়া। মাত্র ৮ রানের মধ্যেই দুই কিউই ওপেনারকে সাজঘরের টিকিট ধরিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহী। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১১.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বেশ কঠিন পরীক্ষার নিয়েছিলেন ইবাদত হোসেনও।
আশা চতুর্থ দিন সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারলে হয়তো মিলবে স্বস্তির হাসি। কিন্তু কিসের কি! সোমবার দিনের শুরু থেকেই একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলছে স্বাগতিকতরা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ফিফটি, তরুণ হেনরি নিকলসের সেঞ্চুরি এবং অভিজ্ঞ রস টেলরের ডাবল সেঞ্চুরিতে চারশ রান করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। এরই মধ্যে লিড পেরিয়েছে দুইশ রানের কোটা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮৩.১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৩২ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ২২১ রানের। ঠিক ২০০ রান করে ফিরেছেন রস টেলর। এছাড়া নিকলস ১০৭ এবং উইলিয়ামসন খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেটে খেলছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং বি জে ওয়াটলিং।
অথচ দিনের মাত্র তৃতীয় ওভারেই ব্রেকথ্রু পেতে পারতো বাংলাদেশ। মাত্র দুই বলের ব্যবধানে দুইবার জীবন পান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। যার মাশুল গুনতে হয়েছে টাইগারদের।
আবু জায়েদ রাহীর করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে হাতের ক্যাচ ছেড়ে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক বল পরই স্লিপে দাঁড়িয়ে টেলরকে জীবন দেন তরুণ সাদমান ইসলাম অনিক। তখন মাত্র ২০ রানে খেলছিলেন টেলর। তিন বলের ব্যবধানে জোড়া জীবন পেয়ে টাইগারদের বেশ ভুগিয়েছেন ডানহাতি এ মিডল অর্ডার ব্যাটসমান।
টেলর জীবন পেলেও সলিড ছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন ১৭২ রানের জুটি। ইনিংসের ৪০তম তাইজুল ইসলামের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উইলিয়ামসন। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তিনি ফেরেন ৭৪ রান করে।
তবে নিজের ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি করতে কোনো ভুল করেননি টেলর। মাত্র ৯৭ বলে করা সেঞ্চুরিতে ১৪টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান টেলর। সঙ্গী হিসেবে এসে যান হেনরি নিকলস। তিনিও তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
নিকলস-টেলর জুটিতে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ২১৬ রান। দলীয় ৪০০ রান পূরণ হওয়ার ৪ রান বাকি থাকতে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন নিকলস। তখনো দুইশ হয়নি টেলরের। খানিকপরেই এ মাইলফলকের পৌঁছে যান তিনি।
ইনিংসের ৮৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টেলর। ঠিক ২০০ রানেই থামে টেলরের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসটি।