টানবাজারে নিম্নমুখী সুতার দাম
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে সুতার দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কাউন্টের সুতার দাম কমেছে ৭-১৪ টাকা। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুতার ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে কাপড় উৎপাদন কমে গিয়েছে। এ কারণে চাহিদা দুর্বল। তার ওপর ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সুতার প্রধান কাঁচামাল তুলার উৎপাদন ভালো হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ কাউন্টের সুতা পাউন্ডপ্রতি বেচাকেনা হচ্ছে ৮৮-১০২ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও একই কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হয়েছিল ৯৫-১১০ টাকা পাউন্ড দরে। পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ৮ টাকা।
২০ কাউন্টের কোয়ালিটি সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০০-১১৫ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা সাতদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৭-১২২ টাকা দরে। দাম কমেছে পাউন্ডপ্রতি ৭ টাকা।
এক্সপোর্ট কোয়ালিটির ২৪, ২৬ ও ৩০ কাউন্টের সুতার বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৬-১৭৫ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা ১০ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১৬৬-১৮৫ টাকা দরে। দাম কমেছে প্রায় ১০ টাকা করে।
৪০ কাউন্টের সুতা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা কয়েক দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ২০৫-২১০ টাকা দরে। দাম কমেছে প্রায় ১০ টাকা।
৪০ কাউন্টের টানা সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ২১০-২১১ টাকা দরে। একই সুতা ১০ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ২২০-২২২ টাকা দরে। দাম কমেছে ১০ টাকা।
৫০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ২৩৮-২৫৩ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা ১০ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ২৫০-২৬৫ টাকায়। দাম কমেছে পাউন্ডপ্রতি ১২ টাকা।
৬০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ২৭১-২৭৬ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ২৮৫-২৯০ টাকা দরে। পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ১৪ টাকা।
৮০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা কয়েক দিন আগেও বাজারে বেচাকেনা হয়েছে ৩৫০-৩৭০ টাকা দরে। পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ১০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে সুতার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ টাকা বাড়লে স্পিনিং মিলের মালিকরা বাড়িয়েছেন আরো ১০ টাকা। অস্থির সুতার বাজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় ছিলেন। তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কাউন্টের সুতার দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। সুতার দাম আরো কমা দরকার।