ঝাল কমেনি কাঁচামরিচের, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে,

স্টাফ রিপোর্টার

ঈদের পর আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। স্বাভাবিক হয়নি এসব পণ্যের বাজার। আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে রসুন। দেশি রসুনের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ঈদের আগে দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৫০ এবং আমদানি করা রসুনের দাম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ছিল।

পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি কিনতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কাঁচামরিচ প্রতিদিনই ভারত থেকে আমদানি হলেও দাম কমছে না। প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সবজির দামও বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গোল বেগুন কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ৮-১০ দিন আগে বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। করলার কেজি ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। মৌসুম শেষ হওয়ায় ঈদের আগেই টমেটো আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি হলেও দাম চড়া। দেশি টমেটো ১০০ থেকে ১৫০ এবং ভারতীয় টমেটো ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে দেশি টমেটো ৫০ থেকে ৭০ এবং আমদানি করা টমেটো ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মুলার দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া বরবটির কেজি এখন ৮০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ ও ৭০ টাকা দরে।

সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি, সাম্প্রতিক খরায় সবজি গাছ মরে গেছে। আবার ভারী বর্ষণে ক্ষেতে পানি জমে বেশিরভাগ গাছ মরে গেছে। এ ছাড়া কোরবানির কারণে কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন কম। সে জন্য দাম বেশি। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ  বলেন, কৃষকরা বেশি সবজি না তোলায় বাজারে কম আসছে।

চড়া মাছের বাজার মাছের বাজারে কিছু দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এদিকে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মজীবীরা ঢাকায় ফেরায় চাহিদা বেড়েছে মাছের। কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে মাঝারি আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ৩০ টাকার মতো বেড়েছে তেলাপিয়া মাছের দাম। মাঝারি ও বড় আকারের তেলাপিয়া কিনতে ক্রেতাকে এখন কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা।

চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ আর সিলভার কার্প ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই ও কাতলা ৩৩০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মানভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ এবং চিংড়ি ৭০০ থেকে ১১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *