জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে অ্যানার্জি রোডম্যাপ চায় এফবিসিসিআই

স্টাফ রিপোর্টার

শিল্প কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের নিশ্চয়তা পেতে সরকারকে অ্যানার্জি রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে পাওয়ার, অ্যানার্জি, ইউটিলিটিজ বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্পোদ্যোক্তা নতুন কারখানা স্থাপনের সময় গ্যাস-বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে কি না, কিংবা কোথায় কারখানা স্থাপন করলে জ্বালানি পাওয়া সহজলভ্য হবে, ভবিষ্যতে দাম কেমন হবে- এসব বিষয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগেন। অ্যানার্জি রোডম্যাপ প্রণয়ন হলে এসব অনিশ্চয়তা দূর করা সম্ভব হবে।

স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও অ্যানার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় সম্পদের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার ভোগান্তি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জ্বালানি খাতে নিরাপত্তা চায়। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়বে।

কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ ও প্রাপ্তিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বেশিরভাগ দেশ এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি রোডম্যাপকে পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে। তেল-গ্যাসের উৎস নিয়ে বাংলাদেশেরও ভাবা উচিত।

নিজস্ব তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বাড়াতে আগামী বাজেটে বাপেক্সকে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম অ্যাক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড) শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন “অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ার” সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ আমদানি করা এলএনজি ও স্থানীয় গ্যাস ব্যবহারের অনুপাত সমান হবে। তখন গ্যাসের দাম আরও বাড়বে। দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকলে দেশের রি-রোলিং, কাঁচ ও সিরামিক শিল্প ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় তেল গ্যাস উত্তোলনের ওপর জোর দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন ইউসুফ, মাহফুজুল হক শাহ, আহমেদ জামাল, দাতা মাগফুর, কাজী আমিনুল হক, নাজমুল হক, শাহিদ আলম ও এফবিসিসিআই মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *