জ্বালানি তেলের দাম কমেছে
যুক্তরাষ্ট্রে টানা দশম সপ্তাহের মতো মজুদ বাড়ায় নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজার। গত বুধবার এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পণ্যটির লেনদেন শেষ হয়। খবর মার্কেটওয়াচ ও রয়টার্স।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) জানুয়ারিতে সরবরাহের চুক্তিতে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২৭ ডলার কমে ৫০ দশমিক ২৯ ডলারে স্থির হয়। আইসিইতে জানুয়ারিতে সরবরাহের চুক্তিতে ব্রেন্টের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৪৫ ডলার কমে ৫৮ দশমিক ৭৬ ডলারে স্থির হয়। ডাউ জোনস মার্কেট ডাটা অনুসারে, উভয় পণ্যের সমাপনী দাম ২০১৭ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বনিম্ন।
নিমেক্সে ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে গ্যাসোলিনের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম গ্যালনপ্রতি ১ দশমিক ৩৯৮ ডলারে স্থির হয়। ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে হিটিং অয়েলের দাম কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম গ্যালনপ্রতি ১ দশমিক ৮৩৮ ডলারে স্থির হয়। তবে এদিন প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে। ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির প্রতি ১০ লাখ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের দাম ৪ দশমিক ৭১৫ ডলারে স্থির হয়, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, ২৩ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ৩৬ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ সময়ে পণ্যটির মজুদ ৭ লাখ ৬৯ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে বলে আশা করেছিলেন। এ নিয়ে টানা দশম সপ্তাহ দেশটিতে পণ্যটির মজুদ বাড়ল। ২০১৫ সালের শরতের পর থেকে পণ্যটির মজুদ এই প্রথম টানা এতদিন বাড়ল। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ আড়াই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। এরপর থেকে দেশটিতে পণ্যটির প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
এর সুবাদে কৌশলগত পেট্রোলিয়াম মজুদ (এসপিআর) ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ৪৫ কোটি ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে এসপিআর ২০ লাখ ব্যারেল কমানো হয়েছে। তবে এ পণ্য বাণিজ্যিক গুদাম বা পরিশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
ইআইএ জানিয়েছে, ডব্লিউটিআইয়ের ডেলিভারি হাব বলে খ্যাত ওকলাহোমার কুশিংয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ১২ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। গত সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দৈনিক রফতানি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ব্যারেল বেড়ে ২৪ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে পণ্যটির দৈনিক আমদানি বেড়ে ৮২ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে।
ইআইএ আরো জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ডিজেল ও হিটিং অয়েলসহ ডিস্টিলেটরের মজুদ ২৬ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা পণ্যটির মজুদ ৮ লাখ ৫৭ হাজার ব্যারেল কমতে পারে বলে আশা করেছিলেন। এ সময়ে গ্যাসোলিনের মজুদ ৭ লাখ ৬৪ হাজার ব্যারেল কমেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা পণ্যটির মজুদ ৬ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে বলে ধারণা করেছিলেন।