জিরা আমদানি বেড়েছে
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর মসলপণ্যটির আমদানি অন্তত দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের মতে, দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার পাশাপাশি ভারতের পর্যাপ্ত সরবরাহ আমদানি বাড়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৪৯৭ টন, যার মূল্য ৯৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় এ বন্দরে জিরা আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ৫৬০ টন, যার মূল্য ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে ২ হাজার ৯৩৭ টন।
এদিকে আমদানি বাড়লেও সাতক্ষীরার খুচরা বাজারগুলোয় জিরার দাম কমেনি। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম প্রতি কেজিতে ১৪০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স ঠাকুর স্টোরে গতকাল আমদানীকৃত প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৫ দিন আগেও দাম ছিল কেজিতে ৭০০ টাকা। এছাড়া ইরান ও আফগানিস্তান থেকে আমদানীকৃত প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। এক মাস আগেও এ দুই দেশ থেকে আমদানীকৃত জিরার দাম কেজিতে ৯০০ টাকা ছিল।
দাম বাড়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক দুলাল চন্দ্র বলেন, ‘আর কয়েক দিন পরই কোরবানি ঈদ। এ কারণে পাইকারিতে জিরাসহ অন্যান্য মসলাপণ্যের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।’
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কোরবানি ঈদ সামনে রেখে যেসব ব্যবসায়ী জিরাসহ অন্যান্য মসলার দাম বেশি নেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে।