জিরা আমদানি ছয় গুণ বেড়েছে
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ব্যাপক পরিমাণ জিরা আমদানি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মসলাপণ্যটির আমদানি বেড়েছে কমপক্ষে ছয় গুণ। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, পাকিস্তানি ও ইরানি জিরার তুলনায় দাম কম হওয়ায় দেশের বাজারে ভারতীয় জিরার কদর বেশি।
ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখার তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৮৮১ টন, যার মূল্য ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এসব জিরা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছিল ৩২০ টন, যার মূল্য ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জিরা আমদানি বেড়েছে ছয় গুণেরও বেশি।
ভোমরা স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, যেসব দেশ থেকে জিরা আমদানি করা হয় তার মধ্যে ভারতীয় জিরা সবচেয়ে সাশ্রয়ী। ইরানি ও পাকিস্তানি জিরা আমদানিতে খরচ হয় মণপ্রতি ১৬-১৮ হাজার টাকা। অথচ ভারতীয় জিরায় খরচ ১১-১২ হাজার টাকা। সাশ্রয়ী হওয়ায় ভারতীয় জিরার চাহিদা বেড়েছে দেশের বাজারে। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে দু-তিন ট্রাক জিরা আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা পণ্য বিক্রি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামা-ভাগ্না ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. জহুরুল হক জানান, তার প্রতিষ্ঠানে প্রতি কেজি ইরানি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। পাকিস্তানি জিরা প্রতি কেজি ৪২০ টাকা। সেখানে ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি ৩৩০-৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, এ বন্দর দিয়ে মসলার মধ্যে শুধু জিরারই আমদানির অনুমতি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সব ধরনের মসলাপণ্য আমদানির অনুমতি দিলে সরকারের যেমন রাজস্ব আয় বাড়ত, তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হতে পারতেন।
ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, জিরা আমদানিতে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আয় হয় সরকারের। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জিরা আমদানিতে প্রায় ১৬ কোটি টাকার রাজস্ব এসেছে।