জালেম থেকে হেফাজতের জন্য যে দোয়া পড়বেন

মাজলুম ব্যক্তির যে কোনো দোয়াই আল্লাহ তাআলা সঙ্গে সঙ্গে কবুল করে নেন। কেননা দোয়া করতে থাকা মজলুম ব্যক্তি ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। এ কারণেই কোনো মানুষের ওপরই জুলুম বা অত্যাচার করা উচিত নয়।

জুলুমের অপরাধে আল্লাহ অনেক আজাব ও গজব নাজিল করেন। তাই কুরআনুল কারিমের অনেক আয়াতেই মানুষের ওপর জুলুমের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আবার পরকালে জালেমদের ওপর দৃষ্টি পড়লেই মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে আবেদন করবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না।’

তাইতো জালেম-অত্যাচারী ও অপরাধীদের সঙ্গী হওয়া থেকে বিরত থাকতে দুনিয়াতে বেশি বেশি মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত।

যদিও দোয়াটি ছোট, কিন্তু এর আহ্বান ও গুরুত্ব অনেক বেশি। এ আহ্বানে রয়েছে নিজেকে জালেম থেকে হেফাজত করার কথা। আবার জালেমের সঙ্গী হওয়া থেকেও বিরত থাকার আহ্বান রয়েছে এতে। যেভাবে মহান আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন-
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তাঝআলনা মাআল ক্বাওমিজ জ্বালিমিন।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৪৭)
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালেম সম্প্রদায়ের সঙ্গী বানিও না।’

সুতরাং প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের উচিত, জালেম-অত্যাচারী ও অন্যায়-অপরাধকারীদের সঙ্গী হওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখা। তাদের সঙ্গী হওয়া থেকে বিরত থাকতে আল্লাহর শেখানো ভাষায় তারই দরবারে বেশি বেশি দোয়া করতে থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের এ ছোট্ট দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *