প্রত্যাশার চেয়েও বেশি খুচরা বিক্রি বেড়েছে জাপানে

স্টাফ রিপোর্টার

নভেম্বরে জাপানের খুচরা বিক্রি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে। কভিড সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি পণ্য ও পরিষেবায় ক্রেতাদের ব্যয় বাড়াতে উৎসাহিত করেছে। খবর কিয়োদো নিউজ।

অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করতে গত সপ্তাহে ৩১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত বাজেটের অনুমোদন দেয় জাপানের মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি দেশটির সরকার ২০২২ অর্থবছরের জন্য ৯৪ হাজার কোটি ডলারের বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। এ অবস্থায় ভোক্তা ব্যয়ের নেতৃত্বে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে। তবে জাপানজুড়ে কভিডের নতুন ধরনের সংক্রমণ অর্থনীতিজুড়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। গত সপ্তাহে দেশটির বড় শহরগুলোয় ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ মাসাতো কোইকে বলেন, এখন পর্যন্ত ভোক্তাদের মাঝে ওমিক্রন নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ দেখা যায়নি। কারণ কেনাকাটার স্থানগুলোয় এখনো মানুষের সংখ্যা বাড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া কভিডের সংক্রমণ সত্ত্বেও শিগগিরই বিধিনিষেধ পরিবর্তন করা হচ্ছে না বলেও নিশ্চিত করেছে সরকার। তবে সংক্রমণের সংখ্যা খুব বেশি বাড়লে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। ছুটির মৌসুমে ফিরে আসা ভ্রমণকারীরা দেশটির সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সরকারি ডাটা অনুসারে, নভেম্বরে খুচরা বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ হার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের গড় ১ দশমিক ৭ শতাংশের চেয়ে বেশি। অক্টোবরে খুচরা বিক্রি বেড়েছিল দশমিক ৯ শতাংশ। পণ্যের দাম বৃদ্ধি সামগ্রিক খুচরা বিক্রি বাড়িয়ে তুলতে অবদান রেখেছে। গত মাসে জ্বালানি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ২৯ দশমিক ২ শতাংশ। তবে সরবরাহ ব্যবস্থায় সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে গাড়ির বিক্রি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং ইলেকট্রনিকস বিক্রি ১০ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বাড়ি থেকে অফিস করার সরঞ্জামগুলোর চাহিদা কমে গেছে। অক্টোবরে সংশোধিত ১ শতাংশ বাড়ার পর ঋতুগতভাবে সামঞ্জস্যের ভিত্তিতে নভেম্বরে খুচরা বিক্রি আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে কভিডজনিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এ মাসের শুরুতে জাপানে সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ওমিক্রনের বিস্তার বন্ধে সীমান্তে কঠোরতা আরোপ ছাড়া অন্য বিধিনিষেধগুলো এখনো ফিরিয়ে আনা হয়নি। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মন্দার পর চলতি প্রান্তিকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। সম্প্রতি রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা এ পূর্বাভাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *