চীনে তামা উৎপাদন কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার

জানুয়ারিতে চীনের শীর্ষ বিগলন কেন্দ্রগুলোর তামা উৎপাদন ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে। মূলত রক্ষণাবেক্ষণ ও ছুটির মৌসুমসংক্রান্ত কারণে উৎপাদনে নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রমালিকানাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যানেকইক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যানেইক সম্প্রতি ১২টি বিগলন প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। চীনের মোট সক্ষমতার ৮৩ শতাংশ তামাই উৎপাদন করে এসব প্রতিষ্ঠান। গত মাসে বিগলন কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টনে নেমেছে। ডিসেম্বরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ২ হাজার ২০০ টন, যদিও এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।

অ্যানেইক এক বিবৃতিতে জানায়, গত মাসে বিগলন কেন্দ্রগুলোতে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ কারণে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নিচে নেমে এসেছে উৎপাদন। অন্যদিকে বসন্ত উৎসবের ছুটিও উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে।

রক্ষণাবেক্ষণ শেষে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই বিগলন প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, চলতি মাসে চীনের তামা উৎপাদন স্থিতিশীল থাকবে। কারণ ২৮ দিনেই মাস শেষ হবে। মাস শেষে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ লাখ ৪০ হাজার টনে।

এদিকে বিদায়ী বছর চীন ১ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টন পরিশোধিত তামা উৎপাদন করেছে। আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের বিগলন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম সর্বোচ্চ মাত্রায় পরিচালনা করেছে। বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর নিকেল আকরিক পরিশোধনের ট্রিটমেন্ট চার্জ ছিল আর্কষণীয়। অন্যদিকে সালফিউরিক অ্যাসিডের দামও ছিল বেশি। চলতি বছরও পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এ সময় চীনের পরিশোধিত তামা উৎপাদন সক্ষমতা অব্যাহতভাবে বাড়বে। এদিকে তামার কনসেনট্রেট সরবরাহও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে দেশটিতে দস্তা উৎপাদনও কমেছে। ৫১টি বিগলন কেন্দ্রে ধাতব পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার টনে। ডিসেম্বরের তুলনায় উৎপাদন ১২ হাজার টন কমেছে। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ভিন্ন একটি বিবৃতিতে অ্যানটেইক জানায়, ছুটির দিনের পাশাপাশি বেইজিংয়ে শীতকালীন ছুটির কারণেও দস্তা উৎপাদন কমেছে। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে দস্তা উৎপাদন কমে ৪ লাখ ৩০ হাজার টনে নামতে পারে। কারণ এ মাসেও বসন্তকালীন ছুটি চলবে। পাশাপাশি মহামারীসংক্রান্ত নানা প্রতিবন্ধকতাও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *