চীনের সয়াবিন আমদানি সর্বনিম্নে

বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়ছে চীনের সয়াবিন আমদানি খাতে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের নভেম্বরে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির আমদানিতে মন্দাভাব দেখা গেছে। কমতে কমতে নভেম্বরে চীনে সয়াবিনের মাসভিত্তিক আমদানি ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।

দেশটির সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চীনে সব মিলিয়ে ৫৪ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কম। ২০১৭ সালের নভেম্বরে দেশটিতে রেকর্ড ৮৭ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে চীনে কৃষিপণ্যটির আমদানি কমেছে ৩৩ লাখ টন। গত ছয় বছরের মধ্যে নভেম্বরে এটাই চীনের বাজারে সয়াবিন আমদানির সর্বনিম্ন রেকর্ড।

গত এক দশকের মধ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে চীনের বাজারে সবচেয়ে কম সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। ওই সময় দেশটিতে কৃষিপণ্যটির আমদানি দাঁড়ায় ৪২ লাখ টনে। এর পর থেকে প্রতি বছরই নভেম্বরে চীনে সয়াবিন আমদানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। ২০১৩ সালের নভেম্বরে দেশটিতে ৬০ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। পরের বছর এর পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকলেও ২০১৫ সালের নভেম্বরে চীনে সয়াবিন আমদানি আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪ লাখ টনে।

২০১৬ সালের একই মাসে চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৭৮ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছিলেন, যা আগের বছরের তুলনায় দুই লাখ টন বেশি। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে দেশটিতে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। চলতি বছর বাণিজ্যযুদ্ধের জের ধরে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় চীনা আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। বিকল্প বাজার হিসেবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ভারত থেকেও সয়াবিন আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা আমদানিকারকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *