চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৪৮৯ মিলিয়ন ডলার
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৪৮৯ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও আফগানিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে চীনের সঙ্গে ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতের সঙ্গে সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার, আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার ও পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
তিনি জানান, নেপালের সঙ্গে ৪১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন, মালদ্বীপের সঙ্গে ৩ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৯ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে চীন ৮ হাজার ৯৩০টি পণ্য অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে। তবে, বর্তমান চীনে অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে কঠোরতা ও কোভিডের কারণে চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতার কারণে আশানুরূপভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, গত ১৫ বছরে রপ্তানি আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ১৫ বছরে মোট প্রবৃদ্ধি ৩০৫ শতাংশ।