চীনের নতুন সি৯১৯ জেট কিনতে চায় নাইজেরিয়া

স্টাফ রিপোর্টার

চীনের নতুন অনুমোদন পাওয়া সি৯১৯ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি বিবেচনা করছে নাইজেরিয়া। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন এয়ারলাইনস নাইজেরিয়া এয়ারে উড়োজাহাজের সংখ্যা ৩৫টিতে উন্নীত করতে চায় দেশটি। সম্প্রতি দেশটির পরিবহনমন্ত্রী হাদি সিরিকা এ কথা জানান। খবর রয়টার্স।

হাদি সিরিকা বলেন, নতুন এয়ারলাইনসটিতে এয়ারবাস ও বোয়িং উড়োজাহাজের সংমিশ্রণ থাকবে। পাশাপাশি বহরে আমরা চীনা সরু বডির জেটটি অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করছি। সম্প্রতি সি৯১৯ নামের জেটটি অনুমোদন দিয়েছে চীনা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান।

গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, নাইজেরিয়া এয়ার প্রতিষ্ঠার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এবং আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে এয়ারলাইনসটি চালু হবে।

কানাডার মন্ট্রিয়লে জাতিসংঘের এভিয়েশন এজেন্সির ত্রিবার্ষিক সমাবেশের ফাঁকে তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমরা সি৯১৯ জেটের দিকে যে চেয়ে আছি তেমন নয়। তবে এটি যদি অন্য উড়োজাহাজের মতো ভালো হয়, তবে কেন নেব না।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রথম সি৯১৯ উড়োজাহাজ এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের তৈরি জনপ্রিয় একক আইলের মডেলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ জেটটির সরবরাহ শুরু করা হবে। তবে কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপ জেটটি অনুমোদন দেবে তা স্পষ্ট নয়। এ অনুমোদন পাওয়ার পরই বেশির ভাগ বিদেশী বাজারে মডেলটির বিক্রির পথ উন্মুক্ত হবে। তবে শিল্প বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে আধিপত্য করা বিদ্যমান উড়োজাহাজ নির্মাতা চীন ও এয়ারবাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চীনের এক দশক সময় লাগবে।

কয়েক দশক ধরে চীন খনিজ ও জ্বালানি তেল উত্তোলনের পাশাপাশি গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সড়ক নির্মাণে আফ্রিকায় লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। মহাদেশটির সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া চীনা পণ্যের শীর্ষ আমদানিকারক।

দেশটি এভিয়েশন খাতে মনোযোগ বাড়িয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির উড়োজাহাজ পরিবহন প্রাক-কভিড স্তর ছাড়িয়ে গিয়েছে। নতুন এয়ারলাইনসটি দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারির ২০১৫ সালের নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *