চীনের কারখানা মূল্যস্ফীতি ১৪ মাসের সর্বনিম্নে
গত মে মাসে চীনের কল-কারখানার মূল্যস্ফীতির হার গত ১৪ মাসের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামসহ অন্য প্রধান প্রধান শিল্পপণ্যের চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল। এর জের ধরে বিশ্বব্যাপী পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। খবর রয়টার্স।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এনবিএস) জানিয়েছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর উৎপাদক মূল্যসূচক ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিলে বৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশ। মে মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। রয়টার্সের এক পূর্বাভাসে এ হার ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ।
কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিধিনিষেধের কারণে চীনে চাহিদা নিম্নমুখী ছিল। এর জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে খুচরা বিক্রিও কমেছে দেশটিতে। এ বিষয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ শিয়ানা ইউ জানান, এ বছরজুড়ে কলকারখানার পণ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হারের নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে শ্লথ ছিল। কঠোর কভিডজনিত বিধিনিষেধের জের ধরে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা ছিল।
এদিকে মে মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চীনের মন্ত্রিপরিষদ ৩৩টি পদক্ষেপের ব্যবস্থাপনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও শিল্প নীতি রয়েছে। গত মাসে মহামারীর সংক্রমণ বাড়ায় কারখানা ও দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের ধাতব পণ্যের ক্রয় কমেছে। চাইনিজ প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল থেকে মে মাসে চীনের অটোমোবাইল বিক্রি ১৬ শতাংশ কমেছে।