চিনির বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার

চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরো বাড়ানোয় পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাড়বে সংকট, ঠিক অন্যদিকে বাজারও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেশটির সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চিনি উৎপাদনকারী ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেডের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিনি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর অথবা পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।

সর্বোচ্চ রফতানির পরও দেশের অভ্যন্তরে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত মে মাসে চিনি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় নয়াদিল্লি, যা চলতি মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ছয় বছরের মধ্যে এবারই প্রথম এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত। এতে রফতানি কমে যায় এক কোটি টন।

সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ২০২১-২২ বিপণন বছরের মে মাস পর্যন্ত ভারতের চিনি রফতানি ৫৭ শতাংশ বেড়ে ৮৬ লাখ টনে গিয়ে দাঁড়ায়। চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সরকার ও শিল্প কর্মকর্তারা জানান, ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশটি ২০২২ সালের রেকর্ড পরিমাণ আখ শস্য উৎপাদন করবে। ফলে রফতানি বাড়বে ৮০ লাখ টন।

গত মাসে ভারতে ২০২২-২৩ চিনি উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে দেশটি ৩ কোটি ৬৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন ২ শতাংশ বাড়বে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক দেশ। এছাড়া রফতানিতে ব্রাজিলের পরই দ্বিতীয় শীর্ষে দেশটির অবস্থান। ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটি ৩ কোটি ৫৮ লাখ টন চিনি উৎপাদন করেছে। সে হিসাবে এ মৌসুমে উৎপাদন বাড়বে সাত লাখ টন।

এ মৌসুমে দেশটির মিল মালিকরা ৪৫ লাখ চিনি ইথানলে রূপান্তর করবে। এর বাইরে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টনে। গত মৌসুমে মিলাররা ৩৪ লাখ টন চিনি ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার করেছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে গ্যাসোলিনের সঙ্গে ১২ শতাংশ ইথানল মিশ্রণ করবে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *