চামড়া আসতে শুরু করেছে ট্যানারিতে, নষ্ট কম

স্টাফ রিপোর্টার

সারাদেশ থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসছে সাভারের ট্যানারিতে। রাজধানীর সবচেয়ে বড় চামড়ার আড়ত পোস্তায় এরইমধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি চামড়া বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর চামড়া নষ্ট’র পরিমাণও বেশ কম বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকেরা।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই, ২০২২) দুপুরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ঢাকার ভেতরে লবণযুক্ত চামড়া গত বুধবার থেকে কেনা শুরু হয়েছে। গত রোববার থেকে ঢাকার বাইরের চামড়া ট্যানারিতে আসছে। ঢাকা ও সাভারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ চামড়া এরইমধ্যে কিনেছেন ট্যানারি মালিকেরা।

তিনি জানান, সারাদেশে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা চলবে প্রায় তিনমাস। বিভিন্ন এলাকার আড়তে লবণযুক্ত চামড়া এ সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ঈদুল আজহার তুলনায় এবারের ঈদে নষ্ট চামড়ার পরিমাণ বেশ কম। সব কাঁচা চামড়া একসঙ্গে আড়তে না এনে নিজ নিজ এলাকায় লবণ দিতে সংরক্ষণের কারণে এ সুফল পাওয়া গেছে। ফলে চামড়া কেনাবেচায়ও তাড়া নেই।

ট্যানারি মালিকেরা জানান, ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২৫ লাখ পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন তারা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক এসেছে ঢাকার বাইরে থেকে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এবার গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে আট লাখ পিস পশুর চামড়া এরইমধ্যে বেশি কেনা হয়ে গেছে। এ বছর সারাদেশে মোট ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি।

এ বছর ৯৫ লাখ পিস পশুর চামড়া সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন ট্যানারি মালিকরা।

সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, বকরির চামড়া কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তবে অন্যান্য বছর থেকে এবার নষ্ট চামড়ার পরিমাণ অনেকটাই কম।

পোস্তার আড়তদাররা বলছেন, অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী এ বছর পোস্তায় চামড়া না এনে নিজ নিজ এলাকায় চামড়া বিক্রি ও লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন। আবার হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি সরিয়ে নেওয়ায় আমিনবাজার ও হেমায়েতপুর এলাকায় চামড়ার অনেক আড়ত তৈরি হয়েছে। সেখানেও প্রচুর চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *