চামড়াখাতে উৎপাদন বাড়াতে গবেষণার নির্দেশ

চামড়াখাতে উৎপাদন বাড়াতে সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কার্যকর গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত ‘ট্যানারি ও লেদার শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কৌশল’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এনপিও পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

সচিব বলেন, বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, দেশের চামড়া শিল্পকে কমপ্লায়েন্ট হতে হবে। এ লক্ষ্যে চামড়া শিল্পসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, টেকনিশিয়ান ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ট্যানারি শ্রমিকদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার অভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে।

তিনি ট্যানারি শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ খাতে ব্যবহৃত কাঁচামালের অপচয় হ্রাস করে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

আবদুল হালিম আরও বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজনের যেটা বর্জ্য, অন্যের কাছে সেটার অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ট্যানারি শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে শক্তিশালী লিংকেজ স্থাপনের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এর মাধ্যমে জিডিপিতে চামড়া শিল্পখাতের অবদান শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *