ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিউবার চিনি শিল্প

বিংশ শতকের শেষ ভাগে কিউবার চিনি শিল্প বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে পুরো বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে এ শিল্প কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। সে সময় বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম ছিল কিউবা। সেই সোনালি সময় অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে।

শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় পিছিয়ে পড়েছে কিউবা। তবে দেশটির অর্থনীতিতে এখনো আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস বিবেচনা করা হয় চিনিকে। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিউবায় চিনি উৎপাদন ও দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানিতে মন্দাভাব বজায় চিল। তবে ২০১৮-১৯ মৌসুমে চিনি উৎপাদন ও রফতানিতে প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাওয়ার আশা করছে কিউবা সরকার। খবর রয়টার্স ও এগ্রিমানি।

কিউবার অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী আলেহান্দ্রো গিল ফার্নান্দেজ জানান, ২০১৭-১৮ মৌসুমটি কিউবার চিনি শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি বছর ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশটিতে চিনির উৎপাদন ও রফতানিতে ধস নেমেছিল। তবে সে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে কিউবার চিনিকলগুলো।

চলতি ২০১৮-১৯ মৌসুমে কিউবায় সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টন চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। একই সঙ্গে এবারের মৌসুমে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ৯ লাখ ২০ হাজার টন চিনি রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমে কিউবায় চিনি উৎপাদন ও দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি দুটিই প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের (আইএসএ) তথ্য অনুযায়ী, দুর্যোগকালীন মন্দাভাবের আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে ক্যারিবীয় দেশ কিউবায় ১৮ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১১ লাখ টন চিনি রফতানি হয়েছিল।

বর্তমানে চিনি রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় কিউবার অবস্থান বিশ্বে ১৪তম। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে কিউবার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১০ লাখ ৯৪ হাজার টন চিনি রফতানি হয়েছিল।

দুর্যোগের কারণে গত বছর দেশটি থেকে চিনি রফতানি কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭০ হাজার টনে। চলতি বছর শেষে কিউবা থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টন চিনি রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *