বয়স থামিয়ে দেবে যে কাজগুলো

অনেকে আছেন যাদের দেখে বয়সের তুলনায় আরও বেশি বয়স্ক লাগে। আবার অনেকে আছেন যাদের দেখলে বয়স একদমই বুঝতে পারা যায় না অর্থাৎ অনেক কম মনে হয়। কিন্তু কথা হলো, তারা কিভাবে বয়সের চাকা এভাবে থামিয়ে রেখেছেন? সেজন্য প্রয়োজন নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলা। আপনার দীর্ঘদিনের অবহেলার ছাপই কিন্তু ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে শরীরে। তাই শরীরকে একদম অবহেলা নয়। চলুন জেনে নেই কোন কাজগুলো আপনার বয়সের চাকা থামিয়ে রাখবে-

প্রচুর পানি পান করুন: বেশিরভাগ সমস্যার সমাধানের জন্য পানি খেতে বলা হয় কেন জানেন? কারণ পানির রয়েছে অসংখ্য গুণ। আপনি খাবার ছাড়া ৪০ দিন বেঁচে থাকতে পারবেন, কিন্তু পানি ছাড়া একটা দিনও চলবে না। সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মেই বাধা তৈরি করবে পানির অভাব। পানি আর্দ্রতার ঘাটতি মেটায়, শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে। ত্বক যত আর্দ্র থাকবে, তত বজায় থাকবে স্থিতিস্থাপকতা। এই টানটান ভাবটা কমলেই কিন্তু বলিরেখা হামলা চালাবে সবার আগে। তাই বয়স ধরে রাখতে পানি পান করুন।

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম: শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। প্রতিদিন আট ঘণ্টা নির্বিঘ্ন ঘুম সবার ভালো থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। মাঝরাতে উঠেও মেইল বা মেসেজ চেক করার অভ্যাস আছে? তাতে কিন্তু আপনি নিজের ক্ষতিই করছেন। মোবাইল আর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো কিন্তু ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি। তবে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমোবেন না, তাতেও মুখে বলিরেখা পড়ে।

ব্যায়াম করুন নিয়মিত: নিয়মিত ব্যায়াম করলে বা অ্যাকটিভ থাকলে আপনার শরীরের ভিতরকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, শরীরের বাইরে থেকে যে মেদের পরত দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু ভিতরেও জমে রয়েছে। আর বাড়তি বোঝা নিয়ে চলতে গেলে সমস্যাও বাড়বে। তাছাড়া, ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচলের হার বাড়ে, পুরো শরীরের সব কোষে পৌঁছে যায় অক্সিজেন। ফলে তা ঝলমল করে। শরীরের ভিতরে রোগ থাকলে কিন্তু ত্বক-চুল ঝলমল করার কথা নয়।

মাথা নিচু করে কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকাবেন না: তাতে কিন্তু বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। কম্পিউটার রাখুন চোখ বরাবর। সারাদিন ঘাড় গুঁজে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকবেন না।

মন ভালো রাখুন: সুস্থ, সুন্দর, তরুণ থাকার সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো মনটাকে ভালো রাখা। আপনার মনের অবস্থার ছাপ পড়বে মুখে ও সারা শরীরে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুন, এমন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন যা করতে আপনার ভালোলাগে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমান, বাড়ান ওমেগা থ্রি: ভাজাভুজি, কেক-আইসক্রিম-মিষ্টি-বিস্কুটের মাত্রা কমান বদলে বাড়ান বাদাম-সিডস-ডিম-ফুল ফ্যাট দুধের পরিমাণ। শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়াটাও খুব জরুরি। মাছ-ডিম-মুরগি চলতে পারে, লাল মাংস এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *