গম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে মিসর

স্টাফ রিপোর্টার

বিশ্বের শীর্ষ গম আমদানিকারক দেশ মিসর চলতি মৌসুমে শস্যটি উৎপাদনে ৬২ শতাংশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কৃষি ও ভূমিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

কৃষিমন্ত্রী, মোহামেদ আল কাসির দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক্সপো-২০২০ এ বলেন, চলতি মৌসুমে মিসর ৩৭ লাখ একর জমিতে গম আবাদ করেছে। এর মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ৯৫ লাখ থেকে এক কোটি টন। মিসরের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ জমিতে গম আবাদ হয়েছে।

আশারক নিউজ জানায়, প্রতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি গম আবাদ মৌসুম শুরু হয়। শেষ জানুয়ারিতে। ফসল সংগ্রহ শুরু এপ্রিলের মাঝামাঝি। শেষ জুলাইয়ের মাঝামাঝি।

আল কাসির বলেন, খাদ্যশস্য আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে মিসর। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে গম ও ভুট্টাকে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবাদি জমি সম্প্রসারণ করছে দেশটির সরকার। বর্তমানে কৃষিজমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ফেদানে (জমি পরিমাপের একক)।

অতিসম্প্রতি মিসর জানায়, আগামী সপ্তাহে দেশটি গম আমদানির জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করবে। তবে আমদানি নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে দেশটি। কারণ বিশ্বের শীর্ষ দুই শস্য রফতানিকারক রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে রাজনৈতিক বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে গমের আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। মূল্যবৃদ্ধিও আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বৈশ্বিক খাদ্যশস্য বাজারে নেতৃস্থানীয় দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানি—সব খাতেই এ দুই দেশের আধিপত্য। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) জানায়, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ২০ কোটি ৬৯ লাখ টন গম রফতানি হবে। এর মধ্যে ২৩ শতাংশই রফতানি করবে রাশিয়া ও ইউক্রেন। মোট বৈশ্বিক ভুট্টা রফতানির ১৬ শতাংশই আসবে এ দুই দেশ থেকে। দেশ দুটির মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাদ্যশস্যের বাজারে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় চলতি মাসের শুরু থেকেই গমের দাম চাপের মুখে।

গ্লোবাল প্ল্যাটসের দেয়া তথ্যমতে, জানুয়ারিতে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে ইউক্রেনিয়ান ১১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের মূল্য স্থির হয়েছে টনপ্রতি ৩১৯ ডলার। অন্যদিকে এফওবি চুক্তিতে রাশিয়ান গমের মূল্য স্থির হয়েছে ৩২৭ ডলারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *