খুলনায় মিলছে না বেঁধে দেওয়া দামে আলু-পেঁয়াজ

স্টাফ রিপোর্টার

সরকার আলু-পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কোনো প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে। নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে এ দুটি পণ্য। অন্যদিকে ইলিশের দাম না কমলেও অন্যান্য মাছের দাম কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সবজির দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে রয়েছে।

নগরীর জোড়াকল বাজার, গল্লামারী বাজার, মিস্ত্রিপাড়া, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঘুরে সরকার নির্ধারিত দরে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি চোখে পড়েনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের একাধিক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, তারা সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা। কিছুটা নষ্ট হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৬৫ টাকা।

নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজও বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা। একটু খারাপ হলে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

সোনাডাঙ্গা পাইকারি সবজি বাজারের আড়তদার মালেক পাটোয়ারী বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও মোকামগুলোতে আলুর দাম এখনও আগের মতই রয়েছে। মোকামে আলুর দাম কমে গেলেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমে যাবে।

খুলনার এ বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা, মেরাজ মেম্বর জানান, চলতি সপ্তাহে বাজারে ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা, কাঁচা কলা হালি (৪টি) ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।

জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ ১০০০ টাকা, এক কেজির বেশি হলে ওজন ১৪০০-১৬০০ টাকা। তবে ৭০০-৮০০ টাকার বেশি দামের মাছ ছোট বাজারগুলোতে আসে না বলেও জানা তারা।

জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা নেয়ামত বলেন, তেলাপিয়া মাছ ১২০-১৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। এছাড়া রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম ২৮০ টাকা থেকে কমে ২৩০ টাকায় নেমে এসেছে। টেংরা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা। বেলে মাছ ৫০০ টাকা, গুলে মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, পার্শে মাছ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তুলার ডাটি ৫০০ টাকা, বেলে ৬০০ টাকা, তপসে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা চিংড়ি ৫০০-৭০০ টাকা, পুঁটি মাছ ২০০ টাকা।

এ ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়তে যে মাছ আসছে তা খুলনার বাজারের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু দাম যে কেনও কমে না তা বলতে পারে না কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *