খান ব্রাদার্স পিপি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির শেয়ার গত সপ্তাহজুড়ে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে ছিল। এর ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৫ টাকা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিল মাস থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। ১৬ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে এখন ১৯ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে গেছে। অর্থাৎ এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২০ ও ২০১৮ সালেও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। তারও আগে ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৬ সালে ১১ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১৬ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এজন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে বার্তাও প্রকাশ করেছে ডিএসই। এ বিষয়ে ডিএসই থেকে জানানো হয়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটিকে নোটিশ দেওয়া হয়। উত্তরে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে, তার জন্য কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই।
এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদের শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২১ হাজার টাকা।
খান ব্রাদার্স পিপির পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল অলিম্পিক এক্সেসরিজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জুট স্পিনার্সের ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়মের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, মাইডস ফাইন্যান্সের ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। এছাড়াও প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।