ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

আরও ১৪ বছর আগেই সুযোগ এসেছিল ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের সামনে। কিন্তু ২০০৫ সালের আসরের ফাইনালে ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোর কাছে হেরে যাওয়ায়, তারা হতে পারেনি ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন।

মাঝের সময়ে আর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি লিভারপুল। যার ফলে সুযোগ মেলেনি ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার। চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ১৪ বছর পর তারা আবার সুযোগ পেয়েছে ক্লাব ফুটবলের বিশ্ব আসরে খেলার। এবার আর বাজিমাত করতে ভুল করেনি লিভারপুল।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। এবার তারা হারিয়েছে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লেমিঙ্গোকে, তাও কি-না এক ব্রাজিলিয়ানের করা গোলেই। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ১-০ ব্যবধানেই জিতেছে লিভারপুল। গোলটি করেছেন রবার্তো ফিরমিনো।

অবশ্য কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটেই জয় পেতে পারতো লিভারপুল। ম্যাচের ৭৭ মিনিটের মাথায় বল জালে ঢুকিয়েছিলেন মোহামেদ সালাহ। কিন্তু সেটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে।

এর আগে-পরে ম্যাচে দাপট দেখান লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার ও ফ্ল্যামিঙ্গোর গোলরক্ষক ডিয়েগো আলভেস। দুই দলই সমান তালে লড়ে আক্রমণ সাজিয়েছিল বেশ কয়েকবার। কিন্তু গোলবারের নিচে দুই অতন্দ্র প্রহরীর কারণে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল হয়নি।

তবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের প্রথমার্ধেই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। সাদিও মানের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় শিরোপাজয়ী গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রবার্তো ফিরমিনো। এর মিনিট দুয়েক পর সালাহর দারুণ এক শট রুখে দেন ফ্ল্যামিঙ্গো গোলরক্ষক।

তবে ফিরমিনোর সেই এক গোলের সুবাদেই শিরোপা চলে যায় লিভারপুলের ঘরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *