ক্রেতা সংকটে শেয়ারবাজার
ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এতে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৭৫ পয়েন্ট। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততোটাই কমেছে।
দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের বিপুল সংখ্যক বিক্রয় আদেশ রয়েছে। বিপরীতে শূন্য হয়ে পড়েছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করের বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ব্যর্থ হচ্ছেন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে মূল্য সূচকও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা কমে যায়। আর প্রধান মূল্য সূচক কমে ১৪৩ পয়েন্ট। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। একদিনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৮৬ পয়েন্ট কমে যায়।
এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বাড়তে থাকে ক্রেতা সংকট। ফলে সূচকের পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এতে আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৫ পয়েন্ট পড়ে যায়।
তবে এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানে পতন থেকে বেরিয়ে এসেছে। এতে সূচকের পতনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ৫২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৯টির। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৫২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৩ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির।