ক্রেতা শূন্য ৮৫ শতাংশ শেয়ার, শেয়ারবাজারে দরপতন

স্টাফ রিপোর্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের প্রথম দিনে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে শেয়ারবাজার। ধস নেমেছে শেয়ারদর ও সূচকের পর লেনদেনেও ধস নেমেছে।

রোববার দুপুর ১২টায় দিনের লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা পর্য়ন্ত প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৮৩ কোম্পানির শেয়ার কম-বেশি কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় ক্রেতাশূন্য অবস্থায় ৩৩৬টি শেয়ার দেখা গেছে, যা তালিকাভুক্ত মোট শেয়ারের ৮৫ শতাংশ।

ডিএসই, তথা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে ১১৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৫২১৮ পয়েন্টে নেমে আসতে দেখা গেছে। সূচক পতনের হার ২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

ব্যাপক দরপতনের মধ্যে মাত্র তিন কোম্পানির শেয়ারই (শ্যামপুর সুগার মিলস, রেকিট বেনকাইজার এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স) সামান্য দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। আরও ২০টি শেয়ার ছিল দর অপরিবর্তিত অবস্থায়।

বাদ বাকি প্রায় সব শেয়ার এরই মধ্যে দর হারিয়েছে। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির আদেশ দিয়ে বসে আছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই।

দরপতন ঠেকাতে গত জানুয়ারি শেষেই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোনো শেয়ার একদিনে ৩ শতাংশের বেশি দর হারাতে পারবে না, এমন নিয়ম বেধে দেওয়ায় প্রায় সব শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরসীমায় আটকে থাকতে দেখা গেছে। ফলে রোববার আর বেশি দর হারানোর সুযোগ নেই। সূচকের পতনও এখান থেকে খুব বেশি বাড়বে না।

আজ লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় মাত্র ৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। আগের দিন গত বৃহস্পতিবার একই সময়ে ২১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ফাঁকা। বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অনেকে ফোনে শেয়ার বিক্রির আদেশ দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, এ অবস্থা হবে, তা আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, যে কোনো অবস্থায় আমি শেয়ারবাজার বন্ধ রাখার বিপক্ষে ছিলাম। তবে এখনকার অবস্থা ভিন্ন। এখন ছাত্রদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজার বন্ধ রাখাই ভালো ছিল মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *