ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরিতে নতুন রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার

একের পর এক হ্যাকিংয়ের শিকার ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য বছরটা ইঁদুর কপালেই বলা যায়। গত বছর ৩০০ কোটি ডলার চুরি হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে চললে চলতি বছরে চুরির নতুন রেকর্ড হবে এই প্ল্যাটফর্মে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

তবে হ্যাকাররা বলছে, বিকেন্দ্রীয় এ অর্থব্যবস্থায় বড় ধরনের লুটপাটের মুখে পড়েছে ঠিকই, মুদ্রা কেউ বের করে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে না। এগুলো কোনো না কোনো ডিজিটাল মেশিনেই সুরক্ষিত হয়ে আছে।

ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ চেনালাইসিস বলছে, শুধু অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রায় ৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি হয়েছে। ২০২১ সালে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির তথ্য রেকর্ড হয়েছে, চলতি বছরও সে পথেই হাঁটছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী ব্যবহার না করে যারা অ্যালগরিদমভিত্তিক সফটওয়্যারের সাহায্যে বিকেন্দ্রীয় অর্থব্যবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন করে, তারাই হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাকাররা এই অর্থব্যবস্থার মার্কেটপ্লেসের নিরাপত্তা, কোডিং ও কাঠামোগত দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়ে উঠেছে। চলতি মাসের ঘটনাটি ব্লকচেইনের যে কাঠামোগত বড় দুর্বলতা রয়েছে তারই প্রমাণ। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রকদের দ্রুতই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টোসেক্টরে বড় দুটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। একটি হলো, হ্যাকাররা টোকেনের দামে কারসাজি করে প্রায় ১০ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে৷ যা বিনিয়োগকারীদের প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।

গত সপ্তাহে ৫৭ কোটি সমমানের ২০ লাখ বিনান্স কয়েন একজন হ্যাকারের দখলে চলে যায়৷ বিন্যান্সের বিবৃতি অনুসারে, অল্পকিছু ফিরিয়ে আনতে পারলেও চুরি হওয়া প্রায় ১০ কোটি ডলার উদ্ধার করা যায়নি।

এদিকে চেনালাইসিস জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে চুরি হওয়া প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার একটি গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *