ক্রাফট কমপ্লেক্সের জন্য জায়গা দাবি
দেশে উৎপাদিত হস্ত ও কারু শিল্প পণ্যের প্রদর্শন ও বিপণনের জন্য একটি ক্রাফট কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে জায়গা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হস্ত শিল্প প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট)।
মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাক্রাফট সমিতির নেতারা এ দাবি জানান।
বৈঠকে সমিতির নেতারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি কারু ও হস্তশিল্পের বিকাশ বাংলাদেশের রফতানি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ শিল্পখাতের প্রসার ঘটিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। তারা শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা ২০১৫’ এর আলোকে এ শিল্পের বিকাশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা চান।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাক্রাফটের সভাপতি আশরাফুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ফৌজিয়া আমিন নীনা, রাজিয়া সুলতানা ও মোহাম্মদ আবু কাউসার, কোষাধ্যক্ষ এবিএম হেলাল ও পরামর্শক নবি নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাক্রাফট নেতারা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় হস্ত ও কারুশিল্প মেলা’ আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, এ মেলায় হস্ত ও কারু শিল্পখাতে উৎপাদিত রফতানিমুখী পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশি হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে বিদেশি ক্রেতাদের মেলা পরিদর্শনের সুযোগ দেয়া হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য সম্পর্কে ধারণা জোরদার হবে। এ লক্ষ্যে তারা একটি উপযুুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চান।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় হস্ত ও কারুশিল্পের বিকাশে সব ধরনের সমর্থন থাকবে সরকারের। এসব পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং সম্ভব। এ ছাড়া, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রেও এ শিল্পের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
তিনি ক্রাফট কমপ্লেক্সের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা চেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনের করতে বলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনসহ আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে হস্ত ও কারুশিল্প প্রদর্শনী আয়োজনে সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।