কুমিল্লা ইপিজেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে

কুমিল্লা ইপিজেডের আরএন স্পিনিং মিলের আগুন প্রায় আট ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের অবিরাম চেষ্টার পর মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সকালে ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফারুক আহাম্মদ। তবে কারখানার ভেতর বিপুল পরিমাণ সুতা, তুলা ও অন্যান্য মালামালে এখনো আগুন রয়েছে। এসব আগুন পুরোপুরি নেভাতে দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

এদিকে ওই কারখানায় ৩ শিফটে যেসব শ্রমিক কাজ করতেন তাদের অনেকেই ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার বিকেলের শিফটেও যারা কাজ করে বাড়ি ফিরেছিলেন সেই কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মালিক পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তারাও বাকরুদ্ধ।

কারখানার মেকানিক্যাল বিভাগের কর্মী দিদার জানান, কারখানার ভেতর ৩টি শিফটে কাজ হয়। প্রতি শিফটে অন্তত ৫শ শ্রমিক কাজ করেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার এলার্ম শুনতে পেয়ে সকল শ্রমিক নিরাপদেই বাহিরে চলে আসে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার মো. সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি তদারকি করেন।

এদিকে আগুনে ওই কারখানার ভেতর থাকা সকল মেশিনপত্র, মালামাল ও অবকাঠামো ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে মালিক পক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, স্টিলের অবকাঠামো দিয়ে তৈরি ওই স্পিনিং মিলে প্রচুর পরিমাণ সুতা ও তুলা থাকায় আগুন অল্প সময়েই পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যে পরিমাণ পানি দরকার ছিল তা ইপিজেডের ভেতর ছিল না। তাই পাম্প চালিয়ে বিকল্প উপায়ে পানি সংগ্রহ করা হয়। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে তবে ভেতরে মালামালের ভেতর জ্বলতে থাকা আগুন নিভিয়ে ফেলতে দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *