কিডনির পাথর প্রতিরোধে করবেন যেভাবে

কিডনিতে বিভিন্ন কারণে পাথর হয়। কিডনির পাথর মূলত শক্ত ক্রিস্টাল; যা খনিজ বা মিনারেল এবং অম্ল লবণ দিয়ে তৈরি হয়। কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ  জমা হয়ে পাথর তৈরি হয়।

পাথর বড় হলে প্রস্রাবের সময় প্রচণ্ড ব্যথা করে, প্রস্রাবের রং গোলালি বা বাদামি হয়, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হয়।

যদি আপনার আগে এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তবে পুনরায় যাতে না হয়, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ ছাড়া যাদের এই রোগ নেই তারা যেন রোগটি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন সে ব্যাপারেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

যাঁরা গরমের মধ্যে বা গরম পরিবেশে কাজ করেন, তাঁরা যদি কম পানি খান তবে কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেড়িয়ে যায়। যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে না পারেন তবে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ।

কিডনির পাথর প্রতিরোধের উপায়
১. প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এগুলো প্রস্রাব হতে সাহায্য করবে এবং পাথর হওয়া প্রতিরোধ করবে।
২. ব্ল্যাক টি বা ব্ল্যাক কফি- এসব ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এর ফলে ডিহাইড্রেশন হয়।
৩. গরমের সময় কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধে লেবু-পানি পান করুন।
৪. অক্সালেট রয়েছে এমন খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। অক্সালেট রয়েছে এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে চকলেট, ব্ল্যাক টি, ব্লু বেরি, মটরশুটি,পালং শাক, বিট, মিষ্টি আলু এবং সয়াজাতীয় খাদ্য ইত্যাদি।
৫. জীবন-যাপনের ধরন কিডনিতে পাথর হওয়ার ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব ফেলে। তাই তাজা খাবার গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৬. লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। নিম্ন সোডিয়ামযুক্ত ডায়েট কিডনির পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমায়। উচ্চ পরিমাণ সোডিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার প্রস্রাবে বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়াম তৈরি করে, যা পাথর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করে।
৭. ম্যাগনেসিয়াম এবং সাইট্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান। ম্যাগনেসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। আপনি যদি কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন ম্যাগনেসিয়াম-জাতীয় খাবার খান। ম্যাগনেসিয়াম-জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে কলা এবং অ্যাভাকোডো।
৮. যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের কিছু ডায়াটারি প্রোডাক্ট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রতিদিন ২৫০ এমএলের বেশি খাওয়া যাবে না। তাদের অবশ্যই লাল মাংস, ডাল এড়িয়ে যেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *