কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ মাসে একবার

করোনার সংক্রমণ রোধে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ হাজার বন্দি রয়েছে এখানে।

কারা সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইতালিফেরত একজন চেক জালিয়াতি মামলায় কারাগারে আসেন। তার সঙ্গে একসঙ্গে কারাগারে আসে আরও ৩৭ বন্দি। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে ওই বন্দির দুইবার কোভিড-১৯ টেস্ট করোনা হলে ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসে। তবে কয়েদিদের মধ্যে যেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

আগে একজন বন্দি ১৫ দিনে একবার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। তবে সমাগম এড়াতে বর্তমানে মাসে একবার বন্দিদের এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, যারা কারাগারে আসছেন তাদেরকে প্রথম রাতে আলাদা রাখা হচ্ছে। পরদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে স্বাভাবিক থাকলে সেল বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো জ্বর হলেই তাদের কারাগারের ভেতরের হাসপাতালের চতুর্থ তলায় পৃথকভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম বলেন, ‘কারাগারে সব বন্দিদের বারবার হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে ভেতরের সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। আপাতত এখানে করোনা আক্রান্ত কিংবা করোনার লক্ষণ পাওয়া কোনো রোগী নেই।’

তিনি বলেন, আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে বন্দিরাও খুব সহযোগিতা করছেন। ইতোমধ্যে অধিকাংশ বন্দি নিজে থেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ জন। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। একজন আগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন। আর বাকি তিনজন বিদেশ থেকে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে এবং একজন কুয়েত থেকে এসেছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার প্রথম এক ব্যক্তি মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তি পুরুষ। তার বয়স ৭০ বছর। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে সব ধরনের ভিড়, সমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে আইইডিসিআর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *